নাসিরাবাদ দুলাহার উচ্চবিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ১৭২ জন। বিদ্যালয়ে দুটি পাকা ভবন এবং তিনটি মাটির তৈরি ঘর। মাটির তৈরি তিনটি ঘরের চারটি কক্ষ এবং পাকা দুটি ভবনের দুটি কক্ষ শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে মাটির তৈরি দুটি ঘরের চালা দুমড়ে-মুচড়ে উড়ে গেছে। এতে সপ্তম,
মাত্র আধা ঘণ্টার কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মেহেরপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক ও বাগানমালিকেরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার ঝড়ে আম, লিচু, কলা, ধান ও পেঁপেখেতের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছ, উড়ে গেছে ঘরের টিন।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে শুক্রবার (১৬ মে) রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। মোটর অকেজো হয়ে যাওয়ায় এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে গিয়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে পানি। কোথাও কোথাও ভ্যান কিংবা হেঁটে পানি আনতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
রংপুরের পীরগাছায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে গাছচাপা পড়ে মো. রনি মিয়া (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) রাত আনুমানিক ১০টায় উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান (ভাটিয়াপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রনি ওই এলাকার নূর আলম মিয়ার বড় ছেলে।
গাইবান্ধা সদরে কালবৈশাখীর সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে র্যাবের এক সদস্য নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের সাহার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা।
ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে দুজন নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেল ৪টার দিকে ঘাগড়া ইউনিয়নের বাড়েরা ও মরাকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া কালবৈশাখী, বজ্রবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কালবৈশাখীতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই দিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহকের সংযোগ চালু করতে পারেনি রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অধীনে থাকা গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস। উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।
চলছে বৈশাখ মাস। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঝড়-বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাই কালবৈশাখীর শঙ্কা থাকায় পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দেশের আট জেলায় ঝড় ও বজ্রপাতে নারীসহ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঘর এবং গাছপালা ভেঙে যাওয়া, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়া এবং ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। আজ সোমবার ভোরে ১ ঘণ্টার ঝড়ে উপজেলার মঘাদিয়া, ইছাখালী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়া গাছপালা ও বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এতে বন্ধ রয়েছে কয়েটি এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৯ গ্রামে। ঝড়ে গাছপালা, কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
ফেনীতে কালবৈশাখী হানা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুর ১২টার পর ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় ফেনীর আকাশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ১০ মিনিট পর
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাঁশ, টিন দিয়ে তৈরি বহু ঘরের চাল উড়ে মাটিতে পড়ে আছে। ঘর মুচড়ে ফেলে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ঘর মেরামত করছে। ঘরের কাপড়সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী রোদে শুকাচ্ছে। ঘরে অবস্থান করার কোনো পরিবেশ নেই। তাঁরা আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয়
লালমনিহাটের পাটগ্রামে কালবৈশাখীতে শতাধিক বসতঘর ও অন্তত ২০টি দোকানের ক্ষতি হয়েছে। এ সময় গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল প্রায় ১০ ঘণ্টা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে পাটগ্রাম পৌরসভা, পাটগ্রাম সদর, জগতবেড়, জোংড়া এবং দহগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
নাটোরের নলডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে বিভিন্ন ধরনের ফসল। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগরের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। বড় বড় শিলা পড়ে। এতে মৌসুমি ফল আম ও লিচুর কুড়ি ঝরে গেছে।
দেশে আজ আট জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে চলতি মাসে একাধিক তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে চারটি। শুধু তা-ই নয়, এপ্রিল মাসেই সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে...